চলতি মৌসুম শেষেই রিয়াল মাদ্রিদের ডাগআউটে দেখা যেতে পারে এক সাবেক তারকা ফুটবলারকে—জাভি আলোনসো। স্প্যানিশ একাধিক গণমাধ্যম বলছে, তার রিয়ালে ফেরা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। বেয়ার লেভারকুজেনে দুর্দান্ত কোচিং ক্যারিয়ার গড়ার পর এবার ঘরের ছেলেকেই মূল দায়িত্ব দিতে চায় লস ব্লাঙ্কোসরা।
দৈনিক এএস-এর মতে, আলোনসো নাকি ইতোমধ্যেই দলবদলের জন্য পছন্দের ফুটবলারের তালিকা রিয়াল মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিয়েছেন। সেই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন দুই মিডফিল্ডার—ফ্লোরিয়ান উইর্টজ ও মার্তিন সুবিমেন্দি। সঙ্গে রয়েছেন এক ডিফেন্ডার, লেভারকুজেনেরই জনাথন থার।
আলোনসোর কোচিং দর্শনে মিডফিল্ডের নিয়ন্ত্রণ খুব গুরুত্বপূর্ণ। খেলোয়াড়ি জীবনে যেভাবে রক্ষণভাগ ও আক্রমণের মাঝের সেতু ছিলেন, ঠিক তেমনই তার দলগুলো খেলে ঠান্ডা মাথার পজেশন ফুটবল। বর্তমান রিয়াল স্কোয়াডে বেলিংহ্যাম, কামাভিঙ্গা, ভালভার্দে, শুয়ামিনি, মড্রিচদের মতো প্রতিভা থাকলেও, আরও নতুন রক্ত যোগ করতে চান তিনি।
লেভারকুজেনের তরুণ জার্মান মিডফিল্ডার ফ্লোরিয়ান উইর্টজ ইতোমধ্যেই ইউরোপের বড় বড় ক্লাবের নজরে। কিন্তু জাভির অধীনে খেলার অভিজ্ঞতা থাকায়, উইর্টজ নাকি রিয়ালে আসতে আগ্রহী। যদিও তাকে নিয়ে লড়াইয়ে আছে ম্যানসিটি ও বায়ার্নও।
আরেকজন হলেন রিয়াল সোসিয়েদাদ মিডফিল্ডার মার্তিন সুবিমেন্দি। তাকে আলোনসো চিনেন খুব কাছ থেকে। কারণ, সোসিয়েদাদের ‘বি’ দলে কোচ থাকাকালীন সুবিমেন্দিকে নিজের অধীনে খেলিয়েছেন জাভি। গত কয়েক মৌসুম ধরে স্প্যানিশ মিডফিল্ডারটি ইউরোপে নজর কাড়ছেন।
মিডফিল্ডের পাশাপাশি রিয়ালের আরও এক বড় প্রয়োজন—রক্ষণভাগে নতুন মুখ। ইনজুরির ধাক্কায় পুরো মৌসুমটাই কেটেছে মিলিতাও, কারভাহালদের ছাড়া। তাই ডিফেন্সে জনাথন থারকে দলে আনতে চান জাভি। ২৯ বছর বয়সী এই জার্মান ডিফেন্ডার উচ্চতায় সাড়ে ছয় ফুট আর অভিজ্ঞতায় ঠাসা। তার চুক্তি শেষ হতে চলায়, কম ট্রান্সফার ফিতেই দলে টানার সুযোগ রয়েছে রিয়ালের সামনে।
সব মিলিয়ে আলোনসোর আগমন মানেই রিয়ালে আসতে চলেছে এক নতুন ছোঁয়া, নতুন কৌশল আর কিছু নতুন মুখ। এখন শুধু অপেক্ষা আনচেলত্তির বিদায়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার।